এসো, কোরান তিলাওয়াত করি

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সাঃ)

৮.
আল্লা কৌশল করেন ওদের সাথে এবং ওদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের সুযোগ দেন, সুতরাং ওরা প্ররোচিত হয়। – সুরা বাকারা, আয়াত ১৫ (২:১৫)
আল্লা এই আয়াতে নিজেই স্বীকার করছেন যে, অমুসলিমদের তিনি কৌশল করে অবাধ্য, বিভ্রান্ত এবং প্ররোচিত করেন। সর্বশক্তিমান, দয়ালু ও জ্ঞানী আল্লার কৌশলাক্রান্ত হয়ে মানুষ অবাধ্য, বিভ্রান্ত ও প্ররোচিত হলে তার দায় কার? আল্লার নিশ্চয়। ইসলামী আইনে এই ধরনের প্ররোচনাকারী ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীর শাস্তি কী হওয়া উচিত?
৯.
আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ে তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকলে তার অনুরূপ কোনো সুরা নিয়ে আসো এবং আল্লা ছাড়া তোমাদের সাক্ষীদের একত্রিত করো। – সুরা বাকারা, আয়াত ২৩ (২;২৩)
প্রথমত, একবার ভাবুন তো, আইনস্টাইন যদি বলতেন, এই যে, আমি আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেছি। তোমরা পারলে এরকম কিছু আবিষ্কার করে দেখাও তো, বাপুরা! বা যদি রবীন্দ্রনাথ বলতেন, ওহে, আমি তো শেষের কবিতা রচনা করেই ফেললুম। তোমরা কেউ অনুরূপ কিছু রচে দেখাও তো ক্ষ্যামতা থাকিলে!
তাহলে আমাদের তা কেমন লাগতো? না, তাঁরা তা করেননি। কারণ আল্লার মতো হীন মন তাঁদের ছিল না।
দ্বিতীয়ত, আল্লার রচিত সুরার অনুরূপ সুরা রচনা করা কি কোনো ব্যাপার হলো?

যেমন, ১৫ নাম্বার সুরার ১৬ নাম্বার আয়াতে আল্লা লিখেছেন, আমি পৃথিবীকে পাহাড় দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছি। তা নইলে পৃথিবী তোমাদের নিয়ে হেলে পড়ে যেতো।
অনুরূপ রচনা আমিও রচে দিলুম, “ওহে লোকসকল, আমি মেঘ দিয়ে আসমানকে ঠেকিয়ে রেখেছি। তা নইলে আসমান তোমাদের মাথার ওপর ঠাডা হয়ে পড়ত।”
৫ নাম্বার সুরার ৩৮ নাম্বার আয়াতে আল্লা লিখেছেন, চুরির শাস্তি হিসাবে মানুষের হাতগুলি কেটে ফেলে দাও। সে নারী বা পুরুষ যেই হোক না কেন। 
অনুরূপ রচনা আমিও রচে দিলুম, “নিঃশ্বাস ফেলার শাস্তি হিসাবে মানুষের নাকগুলি কেটে ফেলে দাও। সে নারী বা পুরুষ যেই হোক না কেন।”
আল্লার চ্যালেঞ্জের আরশ-ভাঙা জবাব আমি দিলাম। দেখি, আল্লা এবার কী করেন, কোথায় যান।
১০.
আমি জ্বিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদাত করার জন্য। (কোরান ৫১:৫৬)
কোরানে সুস্পস্ট প্রমাণ থাকার পরেও নাস্তিক-মুরতাদ-কাফেররকুল জ্বিনে বিশ্বাস করতো না। ওরা বলতো, কুনু জ্বিন নাই। আল্লা কোরানে লিখেছেন, জ্বিন আছে, তিনি নিজের হাতে জ্বিন বানায়েছেন। অথচ নাস্তেকরা বলতো, জ্বিন নাইক্কা। কিন্তু কী অদ্ভুতভাবে আল্লার কথা সত্যি প্রমাণ হয়ে গেল, দেখেন! সেদিন কৌস্তুভ অধিকারী নামের এক নাস্তেক বিজ্ঞানী বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, জিন আছে এই পৃথিবীতে। এবং তারা মানুষের শরীর ভেতরেই আছে। শুধু তাই নয়। জিনেরা মানুষের চুল পাকায়েও দেয়।