লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সাঃ)
৪.
যিনি মৃত্তিকাকে করেছেন বিছানা তোমাদের জন্য আর আকাশকে করেছেন ছাদ এবং বর্ষণ করেছেন আকাশ থেকে পানি, অতঃপর ওটা থেকে তোমাদের জন্য ফলমূল রিজিক স্বরূপ সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং কাউকে আল্লার শরীক করো না। – সুরা বাকারা, আয়াত ২২ (২:২২)
মানে হচ্ছে, আল্লার কাছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড হলো একটা বাসার মত জিনিস। পৃথিবীর পৃষ্ঠ সে বাসার মেঝে আর পৃথিবী হতে বায়ুমণ্ডলের কারণে স্পেসকে যে নীল দেখা যায়, তা হলো আল্লার কাছে বাসার ছাদ। এবং সেই বাসার ছাদ থেকে তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের তুলনায় আমাদের পৃথিবী হলো অতি ক্ষুদ্র একটি ধূলিকণার মতো। যাকে আল্লাপাক ব্রহ্মাণ্ডের মেঝে মনে করেন। আকাশ বলে আসলে কিছু নেই। বায়ুমণ্ডলের কারণে আমরা পৃথিবী হতে স্পেসকে নীল দেখতে পাই। মঙ্গল গ্রহ থেকে স্পেসকে গোলাপী দেখা যায়। আর বৃষ্টি হচ্ছে পৃথিবীতে পানি-চক্র। যার উৎস সমুদ্র, আকাশ নয়। স্পেস থেকে কিন্তু বৃষ্টি হয় না। সমুদ্র ও অন্যান্য জায়গার পানি বাষ্পিভূত ও হালকা হয়ে তা ওপরের দিকে উঠে যায়। এবং তা মেঘ আকারে পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে কিছুটা ওপরে ভাসতে থাকে। তাকে আমরা মেঘ বলি। তা-ই আবার জমতে জমতে পরিমাণে বেশি ও ভারী হলে বাষ্প থেকে পানিতে রূপান্তরিত হয়ে নীচের দিকে মানে ভূ-পৃষ্ঠের দিকে ঝরে পড়ে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের কারণে। মহান আল্লার এই সাধারণ জিনিসটাও জানা নেই। তা অবশ্য কোনো ব্যাপার না। কেউই সবকিছু জানে না। আর আল্লা যখন কোরান লিখেছিলেন, তখনো কিন্তু বিজ্ঞানীরা এসব আবিষ্কার করেননি। জ্ঞান-বিজ্ঞানের এত প্রসার ঘটেনি তখন। আল্লা জানবেন কী করে! তাকে দোষ দিয়েও লাভ নেই।
৫.
অপচয়কারী শয়তানের ভ্রাতা, আর শয়তান নিজের পালনকারীর ঘোরতর অকৃতজ্ঞ। – সূরা বনী ইস্রাঈল, আয়াত ২৭ (১৭:২৭)
আল্লাপাক বেহেস্তে মদের নদী, দুধের নদী, মধুর নদী, শরবতের নদী বানিয়ে রেখেছেন। একেকজন বেহেস্তি মমিনকে ৭২টা করে হুরী দেবেন বেশুমার যৌনলীলা সাধনের জন্য। বেহেস্তের চারিদিকে বিপুল অপচয় আর অপচয়। তিনি হচ্ছেন সবচেয়ে বড় অপচয়কারী। আবার তিনি কোরানে বলেছেন, অপচয়কারী শয়তানের ভ্রাতা। তার মানে তিনি স্বীকার করেই নিচ্ছেন যে, তিনি শয়তানের প্রকৃত সহোদর ভ্রাতা এবং তিনি নিজেই নিজের ঘোরতর অকৃতজ্ঞ। আর অন্যান্য ছোটখাট অপচয়কারীরা হচ্ছে শয়তানের দূরসম্পর্কের চাচাত, ফুফাত, মামাত, তালত ভ্রাতা।
৬.
আমি তাদের সামনে ও পিছনে অন্তরাল সৃষ্টি করেছি, আবরণ দিয়েছি তাদের দৃষ্টিপথে, ফলে তারা দেখতে পায় না। তুমি তাদেরকে সতর্ক করো কিংবা না করো একই কথা, ওরা ঈমান আনবে না। সূরা ইয়াসীন, আয়াত ৯-১০ (৩৬:৯-১০)
দেখতে না পাওয়ার জন্য অন্তরাল সৃষ্টি করেছেন আল্ল্যা। সে কথা তিনি নিজেই স্বীকার করলেন তার নিজের জবানীতে। তাহলে দোষ কার? যার দৃষ্টিপথে অন্তরাল সৃষ্টি করা হয়েছে, তার? নাকি যে অন্তরাল সৃষ্টি করে তাকে দেখতে দিচ্ছে না, তার?
ঈমান আনবে না জেনেও আপনি কেন বৃথা ২ লক্ষ ৪০ হাজার ভণ্ড নবী পাঠিয়ে পৃথিবীর শান্তি বারেবারে বিনষ্ট করেছেন, হে আল্ল্যাপাক?