যথারীতি লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামীলীগ ও বি এন পি’র মারামারি। কিছুক্ষণের জন্য এলাকা রণক্ষেত্র। প্রতি বছরই এমন হয়। কে কার আগে ব্যানার নিয়ে, নিজেদের সংগঠনের নাম নিয়ে ফুল দিবে সেটার জন্য এক নোংরা থেকে নোংরাতম খেলায় মেতে উঠে। ঠাসা-ঠাসি, হুড়ো-হুড়ি একটা সাধারণ ঘটনা। আলতাব আলী পার্ক থেকে কয়েক মাইল দূরত্বেই ওয়েস্টমিনিস্টার। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। গণতন্ত্রের, রাজনীতির, সভ্যতার, এত কাছে থেকেও এরা শেখেনি কিছু। দেশ থেকে যেই পেট ভরা ক্রোধ, হিংসা, সহিংসতা, অধৈর্য্যতার বীজ নিজের শিরায় আর উপশিরায় এরা হাজার হাজার মাইল দূর থেকে বহন করে এনেছে, সেইসব নিয়ামক তারা পাল্টাতে পারেনি এত সভ্য দেশে থেকেও।
আলতাব আলী পার্কে নিয়োজিত বৃটিশ পুলিশ বিষ্ময়ে তাকিয়ে থাকে। শ্রদ্ধা জানাতে এসে এমন হাতাহাতি প্রতি বছর কেন হয়, এরা বোঝেনা। এরা হয়ত মনে মনে হাসে, এরা হয়ত ঘরে গিয়ে তাঁদের স্ত্রী, পূত্রকে, কন্যাকে, বাবাকে, মা’কে গিয়ে বলে, “জানো? আজকে এমন এক দেশের অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পড়েছে যারা সভ্যতার অন্যতম বর্বর। এরা শোকের দিনে দলীয় ক্রোধে উন্মক্ত হয়ে পড়ে”
বিপত্তি ঘটে আমাদের মত সাধারণ মানুষের। আমরা যারা সাধারন জনতা। লজ্জায় মাথাটা নীচু করে বাসার ফিরতি ট্রেন ধরতে হয়। চোখ তুলে যে তাকাব বাসায় ফেরা পর্যন্ত সে সাহস পাইনা। লজ্জায় কুঁকড়ে থাকি, বেদনায় নীল হয়ে যাই।
এই লজ্জাটুকু যদি আমাদের রাজনীতিবিদদের থাকত। অন্তত, আমাদের লজ্জার একশো ভাগের একটা ভাগ। মাত্র একটা ভাগ…