সুকুমার রায়ের ছড়া লড়াই-ক্ষ্যাপা-র প্যারোডি করেছেন নাস্তিকথন
ওই আমাদের পাগলা মমিন, নিত্যি হেথায় আসে;
হুরের লোভে আপন মনে মুচকি হাসি হাসে।
বলতে বলতে হঠাৎ যেন ধমক খেয়ে থামে,
তড়াক্ করে সালাম ফেরায় ডাইনে থেকে বামে।
ভীষণ রোখে হাত গুটিয়ে সামলে নিয়ে কোঁচা;
‘আল্লা’ বলে লাফিয়ে উঠে শূন্যে মারে খোঁচা।
চেঁচিয়ে বলে, “সামিয়াল্লা”, মমিন কোরাস ধরে
অন্ধ মমিন ইমাম পিছে চেঁচায় উচ্চ স্বরে।
হুর কামনায় গরম মমিন পৌষ মাসের শীতে,
সামনে ঝুকে পড়লো মমিন পোঁদের সুবাস নিতে।
এলোপাতাড়ি কপাল গুঁতায় ধুপুস্ধাপুস্ কত!
চক্ষু বুজে দরুদ যপে সর্পওঝার মত।
উঠবসেতে হাঁফিয়ে ওঠে গায়েতে ঘাম ঝরে,
দুড়ুম ক’রে মাটির ‘পরে কুঁজো হয়ে পড়ে।
জোরহাত ক’রে চেঁচায় খালি চোখটি ক’রে ঘোলা,
“মমিন মলো হঠাৎ খেয়ে ভিন মমিনের গোলা!”
গোলা খেয়ে মিনিট খানেক ছট্ফটিয়ে খুব,
গন্ধ শুকে শক্ত হয়ে এক্কেবারে চুপ।
তার পরেতে সটান্ ব’সে চুলকে খানিক নাক
পকেট থেকে বার করে নেয় তাবিজ তজবীর ঝাঁক।
বলল মমিন, “হে কেরামান, নামাজ ভীষণ হলো
পনের মিনিট জলে দিয়ে মমিন দাদা মলো।”