পুতুলের হক কথা – ০৬

লিখেছেন পুতুল হক

১৬.
তালহা আয়েশাকে খুব পছন্দ করতো। একদিন সে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলো, নবী মোহাম্মদের মৃত্যুর পর সে আয়েশাকে বিয়ে করবে। তারপরই মোহাম্মদের বিধবাদের বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আয়াত নাযিল হয়। মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই পরকালে তাদের মিলনের ব্যবস্থা করে দেবেন। আমিন।

১৭.
মুসলিম দেশগুলোতে মেয়েদের বেহাল অবস্থার জন্য মেয়েরাও কম দায়ী নয়। ধর্ম পুরুষের তৈরি কিছু কালো আইন আর পুরুষের তৈরি সৃষ্টিকর্তা নিজেও পুরুষ। তবুও মুসলমান নারী ধর্মের ছায়াতলে (!) থাকবে। এদের দেখলে শাবানা অভিনীত পুরানো বাংলা সিনেমাগুলোর কথা মনে হয়। এসবে দেখাতো, জামাই স্ত্রীকে লাথি মারে আর স্ত্রী জামাইর পা ধরে কাঁদে। ধর্ম সারাজীবন এদের লাথির ওপর রাখে আর এরা নিজেদের ধার্মিক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য মরিয়া।

যে পরিবারে ধর্মের চর্চা যত বেশি সে পরিবারের পুরুষ ততবেশি ডমিনেটিং। চারপাশে তাকালে এটা খুব স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে। মানুষ হিসেবে পুরুষের ক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু পুরুষ যখন সৃষ্টিকর্তা তৈরি করলো, তখন তাঁর ক্ষমতা অসীম হয়ে গেলো। পুরুষের অবাধ্য হলে তবু সহ্য করা হয়, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অবাধ্য হবার জো নেই। ওহে মুমিনাস, একবার দেখো, ধর্ম কার স্বার্থ দেখছে।

নারীকে যখন-তখন ভোগের নিমিত্তে কোরানো তাকে ‘শস্যক্ষেত্র’ বানানো হল। নারীকে “সস্তা” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেনমোহরের ব্যবস্থা করা হল। নারীকে প্রতিবাদ করার কিছুমাত্র সুযোগ না দেয়ার জন্য হিল্লা বিয়ের ব্যবস্থা করা হল। এই প্রথা যদিও এখন অনেক মুসলিম দেশে মানা হয় না, কিন্তু মুসলিম নারীদের মানসিক বৈকল্যের জন্য এই প্রথা শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে।

মোহাম্মদের আমলে মুসলমান এতোটা সহি মুসলমান ছিল না, যতটা আজকের যুগে মুসলমান হয়েছে। রাখাল বালক কোনোরকমে একটা পথ দেখিয়েছিল, আর পরবর্তী কালের রাখালগুলো সে পথকে মহাসড়কে পরিণত করেছে। মোহাম্মদ নিশ্চয়ই তাঁর উম্মতদের জন্য গর্ববোধ করতো, যদি দেখত।

১৮.
মুসলমান থেকে হিন্দু হলে তারা কোন জাতের হয়? টেকাটুকা নাকি পাওয়া যায় হিন্দু হলে? মন চায়, ভারত গিয়ে হিন্দু হই। কিছু ফাও ইনকাম হোল, মিছিল মিটিং করলাম। ফুলের মালা গলায় দিয়ে ফটু তুললাম। এরপর বাংলাদেশে এসে কোনো ওয়াজে আবার মুসলমান হয়ে গেলাম। তখন তো বোরখায় মুখ ঢাকা থাকবে। কল্লা যাওয়ার চান্স কম।