শৈশব থেকেই জেনে আসছি যারা মুসলমান নয় তারা কাফের এবং মুরতাদ।কট্টরপন্থী মুসলমান পরিবারে যারা জন্ম নেয় তারা অমুসলিমদের ছায়াও পর্যন্ত মাড়ায় না। অমুসলিমদের মানুষ বলে গণ্যই করা হয় না। আমাদেরকে আলেমরা শেখান যে অমুসলিমদের সাথে মেলা মেশা করলে মুসলমানদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় । এদের থেকে যত দূরে থাকা যায় ততি ভালো। শুধু তাই নয় কোরানে নির্দেশ দেয়া আছে যেন আমরা অমুসলিমদের সাথে না মিশি। কোরানে যে নির্দেশ দেয়া আছে তা দেখতে চাইলে, আলেমরা যা দেখান, আয়াতগুলো ঠিক এরকম,
অমুসলিমদের অভিশাপ এবং বিদ্বেষ
অমুসলিমদের অসম্মানজনক অবস্থায় জিজিয়া প্রদান করতে হবে
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
কোরআন ৯-২৯
অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব/সুসম্পর্ক করা যাবে না
হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না।
কোরআন ৫-৫১
মুমিনরা যেন মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে যদি তাদের পক্ষ থেকে তোমাদের কোন ভয়ের আশঙ্কা থাকে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের ব্যাপারে সতর্ক করছেন এবং আল্লাহর নিকটই প্রত্যাবর্তন।
কোরআন ৩-২৮
হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের ছাড়া অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের সর্বনাশ করতে ত্রুটি করবে না। তারা তোমাদের মারাত্মক ক্ষতি কামনা করে। তাদের মুখ থেকে তো শত্রুতা প্রকাশ পেয়ে গিয়েছে। আর তাদের অন্তরসমূহ যা গোপন করে তা অধিক ভয়াবহ। অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্ট বর্ণনা করেছি। যদি তোমরা উপলব্ধি করতে।
কোরআন ৩-১১৮
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহ্র পথে হিজরত করে চলে আসে। অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।
কোরআন ৪-৮৯
যারা মুমিনদের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি তাদের কাছে সম্মান চায়? অথচ যাবতীয় সম্মান আল্লাহর।
কোরআন ৪-১৩৯
হে মুমিনগণ, তোমরা মুমিনগণ ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি আল্লাহর জন্য তোমাদের বিপক্ষে কোন স্পষ্ট দলীল সাব্যস্ত করতে চাও?
কোরআন ৪-১৪৪
হে মুমিনগণ, তোমরা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যারা তোমাদের দীনকে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করেছে, তাদের মধ্য থেকে তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে ও কাফিরদেরকে। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক।
কোরআন ৫-৫৭
আর তুমি পরিত্যাগ কর তাদেরকে, যারা নিজদের দীনকে গ্রহণ করেছে খেল-তামাশা রূপে এবং প্রতারিত করেছে যাদেরকে দুনিয়ার জীবন। আর তুমি কুরআন দ্বারা উপদেশ দাও, যাতে কোন ব্যক্তি তার কৃতকর্মের দরুন ধ্বংসের শিকার না হয়, তার জন্য আল্লাহ ছাড়া নেই কোন অভিভাবক এবং নেই কোন সুপারিশকারী। আর যদি সে সব ধরণের মুক্তিপণও দেয়, তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। এরাই তারা, যারা ধ্বংসের শিকার হয়েছে তাদের কৃতকর্মের দরুন। তাদের জন্য রয়েছে ফুটন্ত পানীয় এবং বেদনাদায়ক আযাব, যেহেতু তারা কুফরী করত।
কোরআন ৬-৭০
মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে।
কোরআন ৬০-১৩
অতয়েব তোমরা অমুসলিমদের সাথে মিশবা না। বন্ধু রূপে কখন গ্রহণ করো না। তাদেরকে বাসায় ডেকে এনো না।মানুষকে যদি মানুষ বলে গণ্য না করি তাহলে এই সভ্য দেশে বাস করে জীবনে কি শিখলাম? যে ধর্ম গ্রন্থ অন্য ধরমালম্বি মানুষদেরকে এতটুকু মূল্যায়ন করে না, তাদের সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব বলে মনে করে, সেই ধর্ম প্রচার করে নিজেকে অপমান করা ছাড়া আর কল্যাণকর কিছু হয় কি? শুধু কোরান পড়ে দ আর দুনিয়া দারি শেখা যায় না। নিজেকেই যদি পুরপুরি ভাবে না যানতে পারলাম, এই পৃথিবী সম্পর্কে যদি না জানলাম তাহলে শুধু কোরান পড়ে আর এধরনের বিদ্বেষ মনে ধারণ করে বাঁচা যায় না।