সুলতানা কামাল প্রকাশ্যে রাস্তায় আসলে হুজুররা তার হাড্ডি-মাংস খুলে নিবে! কারণ সুলতানা কামাল বলেছেন, মূর্তি না থাকলে এদেশে মসজিদও থাকতে দেয়া হবে না…। ইসলামপন্থিরা দ্বিনের স্বার্থে মিথ্যা কথা বলেন, এটা তাদের ধর্মের বিধান। এটা জানি বলেই ইউটিউবে খোঁজ করলাম কথিত সেই টক-শোটা।
জানা কথা ইসলামজীবীরা দ্বিনের স্বার্থে কথাকে বিকৃত করেছেন! হেফাজতে এক নেতা থেমিসকে সরানোর যুক্তি দেখিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো অসাম্প্রদায়িকতা সেখানে কোর্টের সামনে একটা মূর্তি রাখাটা সাম্প্রদায়িকতা করা হয়েছে। তখন সুলতানা কামাল পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছেন, তাহলে তো কোর্টের ভেতর যে মসজিদ আছে সেটাও থাকার কথা না…। ব্যস, এটুকুই। প্রথম কমেন্টে ইউটিউবের লিংক দিয়েছি।
সুলতানা কামালের প্রতি ইসলামজীবীদের ক্রোশ অনেক পুরোনো। সুলতানা কামালদের মত নারীদের এই ধর্মজীবীরা ভয় পায়। নারীর অগ্রযাত্রায় তারা নিজেদের ক্ষয় দেখতে পায়। সুলতানা কামালকে তসলিমা নাসরিনের মত দেশ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি বাইতুল মোকাররম থেকে আসাটা তাই স্বাভাবিক।
তার হাড্ডি-মাংস খুলে নেবার কথা বলা দেশের প্রচলিত আইনে ফৌজদারী অপরাধ হলেও এক্ষেত্রে সরকার যে নিরব থাকবে তা বলাই বাহুল্য। সুলতানা কামাল ইচ্ছা করলেই আওয়ামী বিবেকহীন আদর্শহীন বুদ্ধিজীবী হতে পারতেন। আস্থা লীগের হয়ে সাফাই গাইতে পারতেন। তিনি কবি সুফিয়া কামালের কন্যা। সরকারের সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে ক্ষমতার পাওয়ার হাউজের সংস্পর্শে আসতে পারতেন।
তা না করে তিনি আদর্শে অটল থেকেছেন। দেশের সেক্যুলারিজম ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে নুন্যতম আপোষ করেননি। কাজেই মোল্লাদের ‘হাড্ডি-মাংস’ খুলে নেবার ইচ্ছার ঘোলা পানিতে কেউ কেউ যে মাছ শিকার করতে চাইবে সেই আশংকা করি…। এই নষ্ট ভ্রষ্ট সময়ে এই আদর্শবাণ মানুষটির পাশে সবাইকে দাঁড়াতে অনুরোধ জানাই…।